নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা সরকারি ডিগ্রী কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীতে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকার চেয়ে তিনগুন বেশি। এতে অরিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। অনেকে ঋণ করে টাকা এনে ছেলে মেয়ে ভর্তি করিয়েছেন।
একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানাগেছে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে উপজেলা সদরে ১০০০, জেলা সদরে ২০০০ ও বিভাগীয় শহরে ৩০০০ টাকা নেবার নির্দেশনা রয়েছে। এর বেশি নিলে, কেন বেশি নিলেন ব্যখ্যা করতে হবে।
তবে এ নির্দেশনা অমান্য করে হাওরবেষ্টিত শাল্লা উপজেলায় ‘শাল্লা সরকারি ডিগ্রী কলেজে’ তা তিনগুন বেশি নেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কলেজে মানবিক এবং ব্যাবসা শাখায় ভর্তির জন্য ৪৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির জন্য ৪৭০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ অনুযায়ী কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত বিশাক এজেন্ট গুলো উক্ত টাকা উল্লেখ করে লিফলেট সাঁটিয়ে রেখেছেন।
কলেজে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করছেন এমন দুটি বিকাশ এজেন্টের মালিক মনোহর রায় এবং পংকজ কান্তি দাস বলেন, কলেজ থেকে যে টাকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে আমরা শুধু এই টাকাই কলেজের EIIN 130010 এই নাম্বারে পাঠাচ্ছি।
এ বিষয়ে কলেজের অফিস সহকারী দিলীপ কুমার দাস কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক মোজাম্মেল হক ব্যাখ্যা দিলেন ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন ফি ১৫০০ টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণির সেশন ফি ২০০০ টাকা এই ৪৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানগার ফি’ ২০০ টাকাসহ ৪৭০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, আমাকে আরেকজন সাংবাদিক ফোন দিয়েছিলেন, আমি অধ্যক্ষকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, সামনে এসে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। যদি অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ, এর আগেও এই কলেজের বিরুদ্ধে ডিগ্রী পরীক্ষার প্রবেশ পত্র বিতরনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।