মতিউর রহমানকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে চায় নেতাকর্মীরা

বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জননন্দিত এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দেখতে চায় সুনামগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেট বাসী।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পিপি এড. শফিকুল আলম জানান, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমানের নেতৃত্বে যে কোন সময়ের চেয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অতীতে দলে গ্রুপিং কোন্দল ছিল। বর্তমানে জেলার কোথাও দলীয় কোন্দল কিংবা গ্রুপিং নাই। তার দুরদর্শী রাজনীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদকে জাতীয় রাজনীতি অর্থাৎ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপুর্ন পদে দেখতে চাই। কারণ বর্তমানে সুনামগঞ্জের কোন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ন পদে না থাকায় নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক মন্ত্রী বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য  বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যাওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে সুনামগঞ্জ জেলার নের্তৃত্বশূণ্যতা দেখা দিয়েছে। অভিভাবক হীন হয়ে পড়েছিল এই জেলার আওয়ামী রাজনীতি। জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদ জানান, বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় রাজনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দলের ভিতরে কিংবা বাহিরে কোন ধরনের গ্রুপিং কোন্দল নেই। জেলা শ্রমিকলীগের পক্ষ থেকে আগামী সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে দেখতে চাই।
জাতীয় যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার জানান, সুনামগঞ্জবাসী দীর্ঘ দিন যাবৎ আওয়ামী জাতীয় রাজনীতিতে অভিভাবক শূণ্যতায় ভোগছে। জেলার রাজনীতিতে বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সফল এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান পিছিয়ে পড়া জনপথ বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ণসহ বিশ্বম্ভরপুরের মিছাখালী রাবারড্যাম্প, ভাদেরটেক রাবার ড্যাম্প, সুরমা নদীর উপর স্বপ্নের আব্দুজ জহুর সেতুসহ অসংখ্য উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছেন। সুরমার উত্তরপাড়ে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন নিজ নামে আলহাজ্ব মতিউর রহমান কলেজ। এই সজ্জ্বন রাজনীতিবিদকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে মূল্যায়ণ করবেন বলে বিশ্বাস করি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাবেক এমপি ও দরিদ্র মানুষের পরম বন্ধু আলহাজ্ব মতিউর রহমান জেলার রাজনীতিতে সফল ও দক্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে দেখে আসছি। শেষ বষসে এই রাজনীতিবিদকে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।
সুনামগঞ্জ জেলা জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারন সম্পাদক সুদীপ্ত দাস জানান, এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। তিনি ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধসহ দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জাতীয় রাজনীতিতে অভিভাবকহীন রয়েছে। আগামী সম্মেলনে এই বর্ষিয়ান জননেতাকে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন , আমার বিশ্বাস আগামী সম্মেলনে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এই রাজনীতিবিদকে প্রেসিডিয়াম পদ দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলাসহ সিলেট বিভাগের অভিভাবক হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ দিবেন।
আলহাজ্ব মতিউর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা শহরের সবচেয়ে কাছের উপজেলা বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ গ্রহন করি। আর সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ লাখ মানুষের জন্য সুরমা নদীর উপর স্বপ্নের আব্দুজ জহুর সেতু নির্মানে জাতীয় সংসদে কঠোর অবস্থান গ্রহন করি। নেত্রীকে উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছি। নেত্রী আমার কথা শুনে সেতু নির্মান করে দিয়েছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সুরমার উত্তর পাড়ের মানুষের জন্য নিজ অর্থায়নে কলেজ করে দিয়েছি। নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মান করেছি। দলের দুর্দিনে আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আগলে রেখেছি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছি। রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার হিসাব করছি না। নেত্রী আমাকে সিলেট বিভাগের আওয়ামীলীগের কনভেনারের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নিরপেক্ষভাবে চেষ্টা করেছি, তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের দায়িত্বে আসুক। আগামী সম্মেলনে দলীয় প্রধান আমাকে যে দায়িত্ব দিবেন তা সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করবো।