আওয়ামীলীগের সময় বেশী নির্যাতিত হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় –নিতাই রায় চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, । আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে দেশের সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামীলীগের সময় বেশী নির্যাতিত হয় সংখ্যলঘু সম্প্রদায়। আওয়ামীলীগ অযোগ্য একটি সরকার, দেশ পরিচালনায় তারা সম্পূর্ন ব্যর্থ। তারা দেশের সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। রাতের ভোটে জোড় করে জনগণের উপর চেপে বসা আওয়ামীলীগ সরকারের জনগনের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। এটি গণবিচ্ছিন্ন সরকার, আর গণবিচ্ছিন্ন সরকারের কাছে জনগন কোন সময়ই নিরাপদ নয়। দেশে আইনের শাসন না থাকায় বারবার এরকম জগন্য ঘটনা ঘটনা হচ্ছে। অতীতে নাসিরনগর,রামুসহ দেশের যতগুলি সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনা হয়েছে প্রতিটি ঘটনায় সরকার দলীয় লোক জড়িত ছিল। অথচ আওয়ামীগের নেতারা নিজেদের অপরাধ বিএনপিসহ বিরোধি দলের উপর চাপিয়ে উদুর পিন্ডি বুদুর ঘারে দিতে চায়। শনিবার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নির্যাতনের শিকার নোয়াগাও পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছি। এখানে নির্যাতনের চিত্র দেখে আমরা মর্মাহত ও গভীর উদ্বিগ্ন। নিপুন রায় বলেন ইতিমধ্যে গণমাধ্যমের খবরে স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে হামলা, ভাঙ্চুর ও লুটপাটের মত জঘন্য তান্ডব হয়েছে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি এ সরকার দেশের জনগণের ব্যাপারী দায়িত্বশীল নয়। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাই হিন্দু সম্প্রদায়েল উপর বারবার হামলা করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ একলক্ষ টাকা ও নারী শিশু অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এসময় সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক, জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব সোবহানী চৌধুরী, জেলা যুবদল সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রায়হান উদ্দিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।