আনন্দপুর-শাল্লা : সড়ক দখল করে হাঁসের খামার!

 

শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রাম থেকে শাল্লা সদর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সড়কের বিভিন্ন অংশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হাঁসের খামার। এতে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, দিরাই-শাল্লা সড়কটি অস¤পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যাতায়াতের মাধ্যম একমাত্র মোটরসাইকেল। এরমধ্যে গত বর্ষায় ৩ দফা বন্যার কারণে ওই সড়ক ভেঙে মোটরসাইকেল চলাচলেরই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বেশক’টি ব্রিজের অ্যাপ্রোচসহ মূল সড়কের বিভিন্ন অংশও ভেঙে যায়। ফলে চমর দুর্ভোগে পড়েন উপজেলার লাখো মানুষ। এমনই পরিস্থিতিতে শুধু মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য রাস্তায় ও অ্যাপ্রোচে বাঁশের আড়ি এবং কিছু মাটি ফেলে মোটরসাইকেল চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এখন প্রতিদিন শতাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করে। কিন্তু রাস্তায় মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাঁস খামারিদের ঘর। আঙ্গারোয়া গ্রাম সংলগ্ন সড়কে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এমনিতেই রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে বেশকিছু হাঁসের ঘর এখন মরণ ফাঁদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পঙ্কজ কুমার দাস বলেন, এই খামার ঘরগুলো আমাদের জন্য বিপজ্জনক। এগুলো অপসারণ করা দরকার।
নিউটন দাস বলেন, অনেকটি হাঁসের খামার এখনও রয়েছে রাস্তায়। এগুলো মোটরসাইকেল চালকদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এগুলো সরাতে হবে।
বেণু দাস বলেন, এমনিতেই রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। তার উপর এই হাঁসের ঘর আমার বাড়তি চিন্তার কারণ হয়েছে। দ্রুত এর অপসারণ করা দরকার।
মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি রতন চন্দ্র চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের উচিত হাঁসের ঘরগুলো অতিদ্রুত সরিয়ে ফেলা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, রাস্তার উপর থেকে হাঁসের খামারগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে।