শাল্লায় গৃহহীনদের ঘরের তালিকায় অনিয়ম।। অভিযোগের স্তূপ ইউএনও কার্যালয়ে

দিশা ডেস্কঃ

শাল্লায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহ নির্মাণের আওতায় উপকারভোগীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। এরপরই সরকারি ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিতদের বিরাট একটি অংশ নানা অভিযোগ করেন। এই ধারাবাহিকতা চলে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিযোগের স্তূপ জমা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। জানা যায়, এ পর্যন্ত ৭১৯টি পুনর্বিবেচনার আবেদন ও নানা অনিয়ম স্বজনপ্রীতির অভিযোগ জমা পড়েছে।
হবিবপুর ইউপির চাকুয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর দাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি একজন প্রকৃত সুবিধাভোগী। আমার মতো আরো ১০ থেকে ১৫টি হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে। কিন্তু কিভাবে হতদরিদ্র লোকদের নাম বাদ দিয়ে ধনাঢ্য লোকদের নাম আপনার খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছে, বিষয়টি সকলকে ভাবিয়ে তুলছে। দিরাই উপজেলার বাসিন্দাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিরাই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ৩টি পরিবারের নাম তালিকায় রয়েছে।
বাহাড়া ইউপির আঙ্গারুয়া গ্রামের নিরঞ্জন দাস অভিযোগে উল্লেখ করেন, তালিকায় আমার চেয়ে সবাই সচ্ছল। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমি সবার চেয়ে অসচ্ছল। আমার নাম তালিকায় নেই। একই ইউনিয়নের সুখলাইন গ্রামের হেমেন্দ্র সরকার ও বিপ্লব দাস অভিযোগ করেন- আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে বিভিন্ন ধনাঢ্য লোকদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জানা যায় ওই গ্রামের হিমাংশু দাস ও বিধান দাস আপন ভাই। তারা ২ জনেরই বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে।
ভেড়াডহর গ্রামের বাসিন্দা বিজয় কুমার বৈষ্ণব, অরুণ কুমার বৈষ্ণব, নির্মল কুমার বৈষ্ণবসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সরকারি ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত শতশত মানুষ তালিকা সংশোধন করে তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, গতকাল রাতেই আমরা আলোচনায় বসেছি। অভিযোগের বিষয়গুলোকে যাচাই বাছাই করবো। আর তালিকায় অন্য উপজেলার নামগুলো বাতিল করা হবে।
জানা যায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে উপজেলায় মোট ১৫৮১টি পরিবারকে মুজিববর্ষে উপহার স্বরূপ ভূমিহীনদের মাঝে এই সরকারি ঘর দেওয়া হবে। এরমধ্যে ১৬০টি ঘর তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। বাকি ১৪২১টি ঘরের তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে।