দিরাই বাংলাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাঁই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

 

দিরাই প্রতিনিধি ঃ-সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বাংলাবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ টি দোকানের প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানগুলোর আসবাবপত্র সাটারসহ ভস্মীভূত হলেও এমদাদিয়া লাইব্রেরীতে থাকা একাধিক পবিত্র কোরআন শরীফ অক্ষত রয়ে গেছে।শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান বাজারের একটি কাপড়ের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান জানান বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সন্ধ্যা রাতে আগুন লাগায় কেউ হতাহত হননি। জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে লাইব্রেরিতে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্রসহ ও মালামাল পুড়ে গেলেও শুধু অক্ষত ছিল কয়েকটি পবিত্র কোরআন শরীফ। আগুনে লাইব্রেরি পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক মাওলানা এমদাদুল হক। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুনে কোরআন শরীফের মলাট ও চারপাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাদা অংশ কিছুটা কালচে দাগ হয়েছে। কিন্তু কোরআন শরীফের হরফগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। অক্ষত পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফগুলো দেখতে উৎসক জনতা ভিড় জমায়। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আইডি থেকে শেয়ার করে মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে দেখা গেছে।পরে বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা শিহাব উদ্দিনের পরামর্শে পবিত্র কোরআন শরীফগুলো বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। রোববার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করে প্রতিজন দোকানীকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ।এছাড়াও সকালে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বাংলাবাজারের পুড়ে যাওয়া দোকান গুলো পরিদর্শন করে প্রত্যেককে ৫ হাজার করে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।এসময় সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল আবু সুফিয়ান ও অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান।