কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের প্রসব হয়েছিল দিরাই হাসপাতালে

দিরাই প্রতিনিধি ঃ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাস্তার পাশে বনের ঝোপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানের প্রসব হয়েছিল দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মজলিশপুরের নিতাই দাসের বাড়ীর পেছনে বনের ঝোপ থেকে নবজাতক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় দিরাই থানা পুলিশ। আজ (রোববার) উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর ও থানা পুলিশের মাধ্যমে নবজাতক নিষ্পাপ শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে কলি বেগম (৩০), স্বামী তারিক মিয়া, গ্রাম জগদল উল্লেখ করে একজন মহিলা ডেলিভারি কেস নিয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের সেবিকা শামীমা আক্তারের মাধ্যমে কুড়িয়ে পাওয়া কন্যা সন্তানটির জন্ম হয়। সন্তান প্রসবের পর ডাক্তার নার্স চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে কাউকে না জানিয়ে নবজাতক সন্তানসহ গর্ভধারিনী মা ও তার সাথে থাকা লোকেরা পালিয়ে যায়। রাতেই হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মজলিশপুর থেকে এই নবজাতককে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নবজাতকের নাভিতে ক্লিপ লাগানো ছিলো, তখনই ধারণা করা হচ্ছিল হাসপাতালে প্রসব করানো হয়েছে। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুমন রায় চৌধুরী জানান, সকালে নবজাতকটিকে দেখে চেনে ফেলেন সেবিকা শামীমা বেগম। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় রাতে প্রসব হওয়া সন্তান ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, সে সময়ের সিসি টিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছেনা। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলা ফুলে গেছে, যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় সুতা দিয়ে পেছিয়ে শিশুটিকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এসময় কান্না শুরু করায় ফেলে চলে গেছে। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর পঙ্কজ পুরকায়স্থ খবর দিলে আমরা সেখানে গিয়ে নবজাতক কন্যা সন্তানটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। আমরা এ বিষয়ে খবর নিচ্ছি, মনে হচ্ছে হাসপাতালে দেয়া নাম ঠিকানা ভুয়া।