শাল্লা দিরাই সড়কের দাবীতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু

শাল্লা প্রতিনিধিঃ

শাল্লা দিরাই সড়ক নির্মাণের দাবীতে সাত দিন ব্যাপি স্বারকলিপির গণস্বাক্ষর কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় শহীদ মিনারের সামনে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে গতকাল শাল্লা সর্বস্তরের জনগন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছে। এই মানববন্ধন থেকেই ৭দিন ব্যাপি গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাদল চন্দ্র দাস, বকুল আহমেদ তালুকদার, সুব্রত কুমার দাস খোকন, দিলোয়ার হোসেন দিলু, শান্ত কুমার তালূকদার।

আন্দোলনকারি বাদল দাস জানান, দিরাই শাল্লা সড়ক নির্মাণে প্রকল্প শুরুতেই ১২০ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন পায়। আর এই প্রকল্পের টাকা দিয়ে নামমাত্র কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লুটেপুটে খায়। যার ফলে ২০১৭ সালে দিরাই শাল্লা প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় শাল্লাবাসীকে। আর এই সড়ক নিয়ে এখন নানা টালবাহানা চলছে। তিনি আরো বলেন, শুরুতে ১২০ কোটি টাকায় রাস্তার কাজ শেষ হয়। আর এখন সওজ বিভাগ এই সড়কটি নিয়ে শাল্লাবাসীর সাথে খেলা করছে। যেখানে শুরুতে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল এখন সেখানে নতুন করে আরো ৮৩৭ কোটি টাকার প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সুনমাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগ। যার ফলে মন্ত্রণালয় এসব প্রস্তাবনা নাকচ করে পুনরায় জেলা ও বিভাগ অফিসে ফেরত পাঠিয়ে সঠিক প্রস্তাবনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাই সওজের এমন কার্যকলাপেই দিরাই শাল্লার রাস্তার কাজ আটকে আছে বলে তিনি মনে করেন।

উল্লেখ্য: ২০১১ সালে দিরাই শাল্লা সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কাজের শুরু থেকেই ধীরগতি থাকায় সাত বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। ২০১৭ সালের জুনে অসমাপ্ত অবস্থায়ই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। দুর্বল নির্মাণকাজের কারনে সড়কের বেশিরভাগ অংশই ক্ষয় হয়ে যায়। ১২০ কোটি টাকা ব্যয় করেও সড়কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়নি। এছাড়াও এই প্রকল্পে ১১টি সেতু ও কালভার্টে কোনো সংযোগ সড়ক দেয়া হয়নি। ফলে উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বঞ্চিত। আর কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১২০ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৯৯ কোটি টাকা উত্তোলণ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।