দিরাইয়ে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

দিরাইপ্রতিনিধিঃ

দিরাই উপজেলা সদরে মৌসুমী দাস (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। এসময় পরিবারের কেউ বাড়ীতে ছিলেন না। তার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন।

সে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের টুক দিরাই গ্রামের রনদা প্রসাদ দাসের মেয়ে এবং সে দিরাই সরকারী কলেজের ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

জানা যায়, মৌসুমি দাসের বাবা রনদা প্রসাদ দাসের পৈত্রিক নিবাস জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আন্দাবাজ গ্রামে। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শশুরালয় টুকদিরাই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।

গত ২২ নভেম্বর মৌসুমীর মা শাল্লা উপজেলার শাশখাই গ্রামে তার বড় মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছেন। বাড়ীতে কলেজ ছাত্রী মৌসুমী ও তার বাবা ছিলেন। পাশের ঘরে দুই মামা অম্লান দাস ও অমিত দাসের বসবাস। মা বাড়ীতে না থাকায় মামাদের ঘরেই খাওয়া দাওয়া করতো বাবা ও তার মেয়ে।

এ ব্যাপারে মৌসুমীর বাবা রনদা প্রসাদ দাস জানান, সোমবার সকালে মেয়েকে বাড়ীতে রেখে হাসেঁর ডিম নিয়ে বাজারে বিক্রির বাজারে যান। দুপুরের দিকে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখেন বাড়ীতে অনেক লোকজনের সমাগম এবং তার শ্যালক অমিতসহ অনেকেই তার মেয়ে মৌসুমীর মাথায় পানি ডালা দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় অমিত জানায় মৌসুমী অসুস্থ হয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৌসুমীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে লাশের সাথে থাকা প্রতিবেশী মিতালী দাস জানান, তাদের ছিল্লাছিল্লি শুনে গিয়ে দেখি মৌসুমীকে পানি ঢালা দেয়া হচ্ছে। লোকজন বলছিলো সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এ ব্যাপরে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, মৌসুমীর বাবা আমাদের অফিসে জানায় তার মেয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসেছি।

এ ব্যাপারে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম জানান, পরিবারের লোকজন লাশটি হাসপাতালে নিয়ে এসে আমাদেরকে খবর দেয়। তারা বলছেন মেয়েটি গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।