শাল্লায় বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতি ৩৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক-

জুলাই মাসের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির-মসজিদ ইত্যাদি প্লাবিত হয়। এতে ৩৪কোটি ৩৪লক্ষ ১০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতি-ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ্য করে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরাবর পত্র পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ্য করা হয়েছে- জুলাইয়ের বন্যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ৩৪কোটি ৩৪লক্ষ ১০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং বন্যাকালে স্থানচ্যুত হতে হয়েছে ৬৫৩জনকে।
ক্ষতির তালিকা সূত্রে জানা যায় ;
বন্যায় ঘরবাড়ির ক্ষতি ঃ বন্যায় ৪টি পাকা বাড়ি, ৪২টি আধাপাকা, ৩৬৪৮টি কাচা বাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যাতে ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২৫কোটি ৯৮লক্ষ ৪০হাজার টাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ঃ উপজেলার ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২৮টি বিদ্যালয়। এছাড়া ৮টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি কলেজ ও ২টি মাদ্রাসার আংশিক ক্ষতি হয়। যার ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৮০লক্ষ ৫০হাজার টাকা।
রাস্তা-ঘাটের ক্ষতি ঃ বন্যায় ৪৫ কিলোমিটার পাকা ও কাচা সড়ক ৬৯ কিলোমিটার, ৬টি ব্রীজ ও ২টি কালভার্টের সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার নির্মাণ ও মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ২কোটি ৫৭লক্ষ টাকা।
মন্দির-মসজিদের ক্ষতি ঃ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৩০টি মন্দিরের মধ্যে ২০টি সম্পূর্ণ ও ১০টি আংশিক ক্ষতি দেখানো হয়েছে। যার নির্মাণ ও মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০লক্ষ টাকা। অপরদিকে ৪৫টি মসজিদের মধ্যে ১৬টি সম্পূর্ণ ও ২৯টি আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। যা নির্মাণ ও মেরামত করতে ৬৩লক্ষ ৯০হাজার টাকার প্রয়োজন দেখানো হয়েছে।
স্যানিটেশনের ক্ষতি ঃ ১টি সম্পূর্ণ ও ৮০টি আংশিক নলকূপের ক্ষতি হয়েছে বলে রির্পোটে দেখা গেছে। যার মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৫হাজার টাকা। ৬শ’ টি সম্পূর্ণ ও ২শ’ টি টয়লেট আংশিকভাবে ক্ষতি হয়েছে। যার নির্মাণ ও মেরামত ব্যয় ১০লক্ষ ৬০হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ক্ষতি ঃ বন্যায় উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিকের আংশিক ক্ষতি দেখানো হয়েছে, যার মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০হাজার টাকা।
হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশুর ক্ষতি ঃ বন্যায় ২টি ছাগল, ১২শ’ হাঁস, ৩শ’ মুরগী মারা গেছে। যার মূল্য ৬লক্ষ ১৫হাজার ৫শ টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান জানান পরিদর্শন করে বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে জেলা প্রশাসক ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।