দিরাই’র শ্যামারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

 

দিরাই প্রতিনিধি ঃ- – সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার পরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘন্টা খানেক পর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চারটি ইউনিটের সদস্যরা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২০টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।দিরাই ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোঃইন্দুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সুনামগঞ্জ সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট, শান্তিগঞ্জের একটি ইউনিট ও দিরাই ফায়ার সার্ভিস দুইটি ইউনিট সহ মোট চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয়দের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও সহয়তা করেন। এ ঘটনায় ২০টি দোকানঘর ভস্মিভূত হয়ে যায় বলে জানান তিনিও। এসময় জেলা কর্মকর্তা মোঃতারেক হোসেন ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন। আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে দিরাই ফায়ার সার্ভিস ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোঃ ইন্দুল হক বলেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
সরেজমিনে অকুস্থল পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দিনভর দোকানগুলোর মালামাল ও আসবাব পত্র পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে আগুনের ধোঁয়া বেরুচ্ছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মহাদেব ষ্টোর,সরবিন্দু ষ্টোর, সেবিকা ষ্টোর, রাজধানী রেস্টুরেন্ট, আরাফাত এন্টারপ্রাইজ, রাহুল এন্টারপ্রাইজ, কয়েকটি মুদি দোকান, মেশিনারী দোকান ছাড়াও ইলেকট্রনিক্সের দোকান, জুতার দোকান কাঁচা মালের ছোট বড় দোকানও রয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। যেখানে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভয়াবহ অগ্নি কান্ডের খবর পেয়ে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী অকুস্থল পরিদর্শন করেছেন। দিরাই উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামারচর বাজারের ব্যবসায়ী গোলাপ মিয়া বলেন, আগুনে দোকানগুলোর মালামাল আসবাবপত্রসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। অনেক দোকানদারের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন ছিল দোকানই,তারা একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গেল। শ্যামারচর বাজার কমিটির সভাপতি সজল কান্তি দাস বলেন, আগুনে আমাদের ২০ টি দোকান পুরে গেছে। দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, রাতের আধারে ভয়ানক আগুনের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার দেখা বড় একটি দোকানে কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোন সহযোগিতা করা যায়নি,তবে সরকারের উপর মহলকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।